আমরা কেন বয়স হারাচ্ছি
সকাল বেলায় ডিম ভাজির সাথে পরোটা, এরপর চিনি মিশ্রিত এক কাপ চা। দুপুরে লাল মাংস দিয়ে লাঞ্চ, বিকেলে আবার মচমচে ভাজাপোড়া এরপর রাতের খাবারে মাছের সাথে ডাল অথবা চিংড়ি ভাজা। এভাবেই রসনা তৃপ্তিতে মজে আছি আমরা। মাঝে মধ্যে ছুটির দিনে ফার্মের পোল্টির ফ্রাই কিংবা পোঁড়া মাংস, লাল সস আর টক দিয়ে মজা করে খাওয়া। কিংবা গরুর কালো ভুনা।
একটু যাচাই করে দেখুন নিন্মবিত্ত, মধ্যবিত্ত কিংবা উচ্চবিত্ত সবার খাবারের মেনু কতটা রিচফুডে ভরপুর। এর মধ্যে ভেজালতো আছেই, এমন কোন খাবার নেই যেখানে ভেজাল নেই, চাল এবং আলুতেও হেভিমেটাল পাওয়া যায়। ভাবতে পারেন ৬০ টাকা কেজিতে আপনি হেভিমেটাল কিনে খাচ্ছেন। আমাদের দেশের মতো দরিদ্র দেশে নিরাপদ খাদ্য অনেকটা কষ্টসাধ্য হলেও সচেতনতার ফলস্বরুপ আমি, আপনি, আমাদের পরিবার ও সমাজ নিরাপদ হতে পারে।
খাবার খাবেন এশিয়ান শরীর চাইবেন ইউরোপিয়ান তাহলে কেমনে কি?
স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য পরিবারের প্রত্যেকের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ে তোলা আবশ্যক, খাদ্যাভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন আমাদের নানান ধরনের রোগ এবং অপ্রাপ্ত বয়সে শরীরে নানান পরিবর্তন, ৪০ এর আগেই স্টোক, হার্টডিজিজ, ডায়বেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারন খাদ্যাভ্যাস। শরীরের জন্য একটু সময় দিন, শুধু একটু ভাবুন এবং একটু পরিবর্তনের চেষ্টা করুন।
ইউরোপ, আমেরিকার মানুষ কি বেশি খায়? জ্বি না, তারা বেশি খায় না তবে স্বাস্থ্যকর এবং প্রয়োজনীয় খাবার খায়। খাবারের মধ্যে ব্যালেন্স খুবই জরুরী বিশেষ করে যখন শরীরে অম্ল বা এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় তখনই নানান সমস্যা দেখা দেয়।
শরীরে অম্লত্বের (এসিটিক) চেয়ে ক্ষারীয় খাবার বেশি দিতে হবে তাহলেই শরীরে ব্যালেন্স হবে। অম্লীয় খাবার যেমন প্রসেস ফুড বা বেকারী আইটেম, চকলেট, চা, কার্বোনেটেড ডিংকস, স্পাইসি ফুড, ফ্রাইড ফুড ইত্যাদি। ক্ষারীয় খাবার কি? যেমন সবজি জাতীয় খাবার, বাদাম, লেটুস, টমেটো, রসুন, ফুলকপি, শসা, গাজর, পালং শাক, ব্রকলি এবং আলু ক্ষারীয় খাবার।
বয়স ধরে রাখার জন্য আমরা একটা খাবারের তালিকা করতে পারি নিচের ছবি অনুসরণ করে। আসলে বয়স ধরে রাখা মানে প্রকৃত বয়স অনুযায়ী আপনার শরীর কেমন হবে তা মেইনটেইন করা। শুধু চেহারার সৌন্দর্য্য নয় বরং সুষম খাবার আপনাকে নানান রোগ এবং ঝুঁকি থেকে মুক্ত রাখবে। চল্লিশ বছর পর্যন্ত ইচ্ছেমত যা মন চায়, যা জিহবায় স্বাদ লাগে যা সুস্বাদু লাগে খেয়েছেন এরপর পঁয়তাল্লিশে ডায়বেটিস, পঞ্চাশে স্ট্রোক, ষাটে বিছানায়। শুনতে ভালো না লাগলেও এটাই সত্য, শরীর আর কত সইবে?

Anti Age Food
প্রয়োজনীয় এবং সুষম খাবার সব সময় আমাদের পক্ষে সংগ্রহ করা বা ক্রয়ের সামর্থ্যও থাকে না সেক্ষেত্রে বিকল্প খাবারের প্রতি ঝুঁকতে হবে। মনে রাখবেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর প্রতিদিন ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ ক্যালরি গ্রহণ করা উচিত। পুরুষদের ক্ষেত্রে যা ২ হাজার থেকে ৩ হাজার। শিশুদের ক্ষেত্রে ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ হতে হবে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার। ক্যালরির হিসেবটা আমরা দেখে নিব।
ডায়টারী সাপ্লিমেন্ট কেন খাবেন? এক কথায় শরীরের ঘাটতি পূরন, ব্যালেন্সিং এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রাড়ানোর জন্য ডায়টারী সাপ্লিমেন্ট জরুরী। ডায়টারী সাপ্লিমেন্ট বা ফুড সাপ্লিমেন্ট কোন ঔষধ নয় বরং এটিকে বলা হয় সম্পূরক খাদ্য যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন, এন্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষমতা বাড়ায়। আমরা প্রতিদিন যেসব খাদ্য গ্রহণ করি সব খাদ্যেই একই ধরনের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান যে কারনে আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অ্যামাইনো এসিড, আয়োডিন, ভিটামিন বি১২, ডি৩ সহ প্রায় সকল প্রকার মিনারেলের ঘাটতি থেকে যায়। সুপারফুড বা সাপ্লিমেন্টারী ফুডে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যামাইনো এসিড রয়েছে যা আমাদের ঘাটতি পূরনে সহায়ক।
এসব খাদ্যের কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই বরং শরীরের প্রয়োজনীয় ঘাটতি পূরন করাই এর কাজ। আমাদের চারপাশে পরিচিত কিছু সুপারফুড রয়েছে যা আমরা বর্তমানে সকলেই কমবেশি জানি যেমন, স্পিরুলিনা, মরিঙ্গা, বিভিন্ন প্রজাতির মাশরুম, ননী বা মরিনঝি, অ্যাভোকাডো, ইত্যাদি। অত্যন্ত পুষ্টিগুণ ও ঔষধিগুণ সম্পন্ন প্রতিটি সুপারফুড। (এখানে পাবেন ন্যায্যমূল্যে)
কোয়ালিটি সুপারফুড মূল্য কিছুটা বেশি মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে গুন বিবেচনায় এসবের মূল্য সামান্যই। কোন স্পেসিফিক রোগ বা শারীরিক সমস্যার জন্য কোন কোন ডায়টারী সাপ্লিমেন্ট খাবেন তা জানতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন- 01789110048
মনে রাখবেন ঔষধের চেয়ে পথ্য নিরাপদ আর এই পথ্য হলো বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সাপ্লিমেন্ট। আমাদের শরীর এমন একটি মহাযন্ত্র যা কিনা যে কোন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে তবে এর জন্য প্রয়োজনী রসদ জরুরী যা অধিক মাত্রায় পাওয়া যায় সুপারফুডে।
প্রতিদিন কোন কোন সুপারফুড আমাদের বয়স হারানো থেকে রক্ষা করে যার দরুন ৫০ বছরের মানুষকে ৭০ বছরের মতো দেখাবে না এবং অযথা রোগাক্রান্ত হবে না। তাই মুখরোচক খাবার না খেয়ে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার বেশি করে খান। ধন্যবাদ।।
Leave a Reply