অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে সহজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে সহজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি ❓

মার্কেটিং শব্দটির সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত হচ্ছে প্রচার, প্রমোশন এবং কেনা-বেঁচা। আপনি যেকোনো কোম্পানি যেমন আ্যামাজন বা অন্য কোনো কোম্পানি যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং চালু রেখেছে সেখানে থেকে আপনার কোনো পছন্দের প্রোডাক্ট লিঙ্ক আপনার কোনো সাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করলে, ঐ লিঙ্কে ক্লিক করে কেউ যদি কোনো প্রোডাক্ট কিনে নেয় তাহলে বিক্রিত ঐ প্রোডাক্টের উপর আপনি নিদিষ্ট হারে কমিশন পাবেন। এই সিস্টেমটিই মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায় ❓

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায় সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করেঃ
~ আপনি কত দামি প্রোডাক্ট প্রচার করছেন
~ প্রতি বিক্রিতে আপনি কত টাকা হারে কমিশন পাচ্ছেন তার উপর
~ আপনি যে প্রোডাক্ট মার্কেটিং করছেন তার চাহিদা কত
ইত্যাদি…. তবে অনেকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। আপনি চাইলে সহজেই কয়েক হাজার টাকা ইনকাম করা কোনো ব্যাপার না।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার ❓

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং তিন প্রকার।
1.Un-Attached Affiliate marketing.
2. Related Affiliate Marketing.
3. Involved Affiliate Marketing.

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা ও অসুবিধাঃ

√সুবিধাঃ
১. ব্লগ বা ইউটিউব না থাকলেও অ্যাফিলিয়েট করা যায়।
২. টাকা না থাকলেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়।
৩. পছন্দের পন্য প্রচার করে অ্যাফিলিয়েট করা যায়।
৪. অল্প সময় কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়।
৫. কম ট্রাফিকে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়।

×অসুবিধাঃ
১. সঠিক অ্যাফিলিয়েট পণ্য খুঁজে পাওয়া কঠিন।
২. অনেক সময় অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়।
৩. একদম নতুন দের ইনকাম শুরু হতে সময় লাগবে।
৪. পণ্য বিক্রি না হওয়া অবধি টাকা পাবে না।

ছয়টি সহজ উপায়ে অ্যাফিলিয়েট করতে পারেনঃ

১. সবচেয়ে আগে আপনার একটি ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল, ফেইসবুক পেইজ বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্লগ থাকতে হবে। সেইসব জায়গায় প্রচুর ট্রাফিক, ভিজিটর এবং লাইকার থাকতে হবে যাতে আপনি তাদের সামনে প্রোডাক্ট শেয়ার বা মার্কেটিং করবেন।
২. এখন আপনায় একটি ভালো অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করতে হবে। যেকোনো অনলাইন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করে আপনি তাদের প্রোডাক্ট নিজের অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কে শেয়ার করতে পারেন।
৩. Affiliate network or Affiliate programme জয়েন করার পর আপনি কেমন সামগ্রী শেয়ার করবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। যেসব জিনিসের চাহিদা অনেক বেশি অবশ্যই সেসব জিনিসের প্রচার করা ভালো।
৪. বেছে নেওয়া প্রোডাক্ট বা সামগ্রী প্রচারের জন্য আপনাকে একটি অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক দেওয়া হবে। সেই লিঙ্কে প্রবেশ করে গ্রাহক সরাসরি অফিশিয়াল পেইজে চলে আসতে পারবে।
৫. এরপর সেই লিঙ্ক আপনার ইউটিউব চ্যানেল, ব্লগ বা ফেইসবুক চ্যানেলের লোকদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।
৬. এরপর সেই লিঙ্ক থেকে কোনো গ্রাহক কিছু কিনে নিলে আপনায় নিদিষ্ট হারে কমিশন দেওয়া হবে। এভাবে খুব সহজে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সেলার হাট এর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম অনুসরণ করতে পারেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *